বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব কিছুটা হলেও কমতে শুরু করেছে। ইতালি সহ বেশ কয়েকটি দেশে মৃতের হার তুলনামূলক ভাবে কমে এসেছে। যা স্বস্তিদায়কই বটে। কিন্ত এরই মাঝে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ শুরু করেছে করোনা ভাইরাস।
সম্প্রতি চিনের জিনলিং প্রদেশে এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩৪ টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়ে। এই অবস্থায় চীনের সরকার ঘোষণা দিয়েছে তারা কয়েক কোটি মানুষের করোনা টেস্ট করাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই মধ্যে জিনলিং শহরটিকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
এইদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনের বরাতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, করোনা ভাইরাস হয়তো এইচআইভি ভাইরাসের মতো পৃথিবীতে স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। যেটিকে কখনো একেবারে নির্মূল করা সম্ভব নাও হতে পারে। সম্প্রতি আমেরিকা, ফ্রান্স সহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিলে এই আশংকা দেখা দেয়।
ডব্লিউএইচওর জরুরি কর্মকাণ্ডবিষয়ক পরিচালক মাইকেল রায়ান এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এটি এ জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে, ভাইরাসটি আমাদের সমাজে আরেকটি স্থানীয় ভাইরাস হয়ে উঠতে পারে। আমরা বাস্তববাদী বলে মনে করি এ ভাইরাস কখন দূর হবে, তা কেউ বলতে পারবে বলে মনে হয় না। এ নিয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই এবং থামার কোনো তারিখ নেই। এই রোগটি দীর্ঘ সময়ের সমস্যা হয়ে থেকে যেতে পারে, আবার তা না–ও হতে পারে।’
বিশ্বে সম্ভাব্য ১০০ ভ্যাকসিনের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চলছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বুঝতে পারছেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিন খুঁজে পাওয়া কষ্ট।
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, ‘এ মহামারি ঠেকাতে আমাদের সবাইকে অবদান রাখতে হবে। অনেক দেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ থেকে বেরিয়ে আসতে চাইবে। তবে আমাদের সুপারিশ হলো, এখনো যেকোনো দেশে সতর্কতাটি সর্বোচ্চ স্তরে হওয়া উচিত।’
এ এন এম নাঈম/ নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্যসূত্রঃ