স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে প্রাণঘাতী এইডস থেকে মুক্তি মিলেছে এক নারীর। গবেষকদের দাবি নতুন এই উদ্ভাবনের ফলে অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি ছাড়াই আরও বেশি মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে।
এ পর্যন্ত পুরো পৃথিবীতে মোট তিনজন মানুষের এইচআইভি থেকে মুক্তির খবর নিশ্চিত করা হয়। আগের দুজন রোগীই ছিলেন পুরুষ। তাদের সেল প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অস্থিমজ্জার প্রাপ্ত বয়স্ক স্টেম সেল ব্যবহার করা হয়।
এবার প্রথম একজন নারী এইচআইভি থেকে মুক্তি পেলেন। নাম প্রকাশ না করা আমেরিকান মধ্যবয়সী ও মিশ্র বর্ণের এই মহিলার চিকিৎসা পদ্ধতিতে প্রাপ্ত বয়স্ক স্টেম সেল ব্যবহার করা হয় নি।
এর পূর্ববর্তী এইচআইভি (HIV) থেকে নিরাময় এর সংবাদটি পড়ুনঃ নিজস্ব ইমিউনিটি সিস্টেমেই HIV হতে মুক্তি মিললো দ্বিতীয় রোগীর!
যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার শহরে গত মঙ্গলবার ‘রেট্রোভাইরাস অ্যান্ড অপরচুনিসটিক ইনফরমেশন‘ সম্মেলনে এই চিকিৎসা পদ্ধতি ও সাফল্যের কথা তুলে ধরা হয়। সম্মেলনে বলা হয় সেই নারী লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন এবং তার লিউকেমিয়া নির্মূল করতে নাভীরজ্জু বা অ্যাম্বিলিকাল কর্ড এর রক্ত ব্যবহার করে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করা হয়। রক্ত নেয়ার প্রায় ১৪ মাস পর্যন্ত কোন প্রকার অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি ছাড়াই রোগী এইচআইভি মুক্ত ছিলেন। ফলে গবেষকেরা দাবি করেছেন তিনি এখন এইভআইভি থেকে সুস্থ। বিজ্ঞানীদের আশা স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আরও বেশি সংখ্যক রোগীকে অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি ছাড়াই চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লস অ্যাঞ্জেলস ও জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এ গবেষণার কাজে যুক্ত ছিলেন। সেখানে ২৫ জন এইচআইভি আক্রান্ত রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এদের সবারই ক্যান্সার সহ অন্যান্য বড় ধরনের শারীরিক জটিলতা ছিল। এই ২৫ জনকে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এই গবেষণায় প্রথমে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের ক্যান্সার কোষ ধ্বংসের জন্য কেমোথেরাপি দেয়া হয়। এরপর নির্দিষ্ট জেনেটিক মিউটেশন সম্পন্ন জেনেটিক স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করা হয়। প্রতিস্থাপিত স্টেম সেল এ এইচআইভি আক্রমণ করতে পারে এমন কোন সেল রিসেপ্টর থাকে না।
অস্থিমজ্জার সেল প্রতিস্থাপন এইচআইভি (HIV) নিরাময় করতে কাজ করবে এমন কোন নিশ্চয়তা ছিল না। কিন্তু রিপোর্টগুলো বলছে এইচআইভি থেকে হয়তো মুক্তি সম্ভব এবং জিন থেরাপি এইডস নির্মূলে টেকসই হবে।
মাসরুল আহসান/ নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্যসূত্র: AL-JAZEERA
+1
+1
+1
+1
+1
3
+1
+1