যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা উদ্ভিদ ভিত্তিক টেকসই ও ভবিষ্যৎ উপযোগী একটি উপাদান তৈরি করেছেন যা ভোক্তা পণ্যগুলোতে ওয়ান-টাইম প্লাস্টিক-এর স্থলে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তারা একটি পলিমার ফিল্ম তৈরি করেছেন যা মাকড়সার রেশমের মতো কাজ করতে সক্ষম। উদ্ভাবিত এই উপাদানের নাম দেয়া হয়েছে ‘ভেগান স্পাইডার সিল্ক‘। উদ্ভিদ প্রোটিন ব্যবহার করে তৈরি এই উপাদান এটা দিয়ে মাকড়সা থেকে উৎপাদিত রেশমের মতই একটা পলিমার লেয়ার তৈরি করা সম্ভব। উদ্ভিদ থেকে হওয়ায় এটার শিল্প উৎপাদন ও সহজেই করা যাবে। এছাড়াও এটি পানি প্রতিরোধী ও রঙ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন।
বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী নেচার কমিউনিকেশন্স এ গবেষণাপত্রটি প্রকাাশিত হয়। বিজ্ঞানীরা সয়া প্রোটিন বিচ্ছিন্ন করে মাকড়সার রেশমের উপর প্রাপ্ত কাঠামোর পূর্ণ প্রতিলিপি তৈরি করেছেন। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক ও গবেষণার সহ-লেখক থুওমাস নোলস বলেন, “সমস্ত প্রোটিন পলিপেপটাইড চেইন দ্বারা তৈরি। তাই উপযুক্ত পরিবেশে আমরা মাকড়সার রেশমের মতো উদ্ভিদ প্রোটিনগুলোকে একত্রিত করতে পারি।”
By taking hints from spiders, a team from @ChemCambridge has developed a plant-based alternative to single-use plastics.
— Cambridge University (@Cambridge_Uni) June 10, 2021
তিনি আরও জানান যখন মাকড়সা তার জাল বুনে, তখন রেশম প্রোটিনগুলো জলীয় দ্রবণে দ্রবীভূত হয়। এটি ঘূর্ণন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ফাইবারে পরিণত হয়। মাকড়সার মতো গবেষকদেরও উদ্ভিদের প্রোটিন দ্রবীভূত করার একটি উপায় প্রয়োজন ছিলো, যাতে তারা মাকড়সার রেশমের বৈশিষ্ট্যগুলো অনুসরণ করতে পারে।
কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে উদ্ভিদ প্রোটিনগুলো পানিতে খুব কম দ্রবণীয়। তবে গবেষকেরা অ্যাসিটিক অ্যাসিড ও পানির মিশ্রণে সয়া প্রোটিনকে বিচ্ছিন্ন করার পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি তৈরি করেন। এই পদ্ধতিতে প্রোটিন বিচ্ছিন্ন করার প্রাথমিক কাজের পর দ্রাবকটি সরিয়ে ফেলা হয় এবং প্রোটিনকে জল-দ্রবীভূত প্লাস্টিকের মতো ফিল্ম আকারে পুনরায় সাজানো হয়।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত কোম্পানি জাম্পলা এই উপাদান বাজারজাত করবে। মূলত ওয়ান-টাইম প্লাস্টিক ও মাইক্রোপ্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে উদ্ভিদ থেকে উৎপন্ন এই ভেগান স্পাইডার সিল্ক ব্যবহৃত হবে। এ বছরের শেষদিকে, লন্ড্রি ডিটারজেন্ট ক্যাপসুল ও ডিশ ওয়াশার ট্যাবলেটগুলোতে ব্যবহৃত প্লাাস্টিকের প্রতিস্থাপনের জন্য এগুলো প্রবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে।
গবেষণার আরেক সহ-লেখক ও জাম্পলার গবেষণা ও বিকাশের প্রধান ডক্টর মার্ক রদ্রিগেজ গার্সিয়া বলেন, “এই যাত্রার অংশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিশ্বে প্লাস্টিক দূষণ একটি বিশাল সমস্যা। আমরা এই ব্যাপারে কিছু করতে পেরে সৌভাগ্যবান।”
ফিনিশ স্টাডির গবেষণা অনুযায়ী খাদ্যতালিকায় কোলেস্টেরল বা ডিমের উপস্থিতি স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় নাঃ ইউনিভার্সিটি অফ ইস্টার্ন ফিনলান্ড এর নতুন গবেষণায়...