ইতালির ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিলের পোলার সাইন্স ইনস্টিটিউটের গবেষক বিয়াজিও ডি মাওরো এর ভাষ্যমতে, উত্তর ইতালির প্রেসেনা হিমবাহে “গোলাপি তুষার” দেখা গেছে। গোলাপি তুষার যেটিকে “ওয়াটারমেলন স্নো” ও বলা হয়ে থাকে।
যদিও বসন্ত এবং গ্রীষ্মকালে ইতালিয়ান আল্পস বা গিরিশৃঙ্গ গুলো গোলাপি রঙের হওয়া তেমন কোন অস্বাভাবিক ঘটনা না। কিন্তু ঘন ঘন শৈবাল দ্বারা সৃষ্ট এই ঘটনা ঘটতে শুরু করলে তখন সেটি বিজ্ঞানীদের সতর্ক হওয়ার কারণ হতে পারে।
ডি মাওরো সিএনএনকে এক বিবৃতিতে বলেন- “২০২০ সালে তুষারপাতের অভাব এবং উচ্চ তাপমাত্রার কারণে শৈবালের বৃদ্ধি বেড়েছে। এবং এই অতিরিক্ত শৈবাল গুলো বরফ গলে যাওয়ার কারণ হতে পারে”।
ডি মাওরো ‘দ্য গার্ডিয়ান’ এর একটি আর্টিকেল এর স্পষ্টতা ব্যাখ্যার জন্য একটি টুইট করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেন- “এ শৈবালটি সম্ভবত ক্ল্যামিডোমোনাস নিভালিস, যা একটি তুষার শৈবাল। তিনি আরো বলেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে শৈবালের সম্পর্ক এখনো প্রমাণিত হয়নি।”
মে মাসের শেষের দিকে অ্যান্টার্কটিকা সমুদ্র জুড়ে সবুজ তুষারপাতের খবর পাওয়া যায় যা অনুজীব শৈবাল দ্বারা সৃষ্ট। অনেক ক্ষুদ্র অণুবীক্ষণিক হলেও সবুজ পুষ্পগুলো স্যাটেলাইট দ্বারা চিহ্নিত করা যাবে।
তবে গবেষকদের ধারণা, “উষ্ণ জলবায়ুর প্রভাবে সাথে তুষারের রং এর সম্পর্ক থাকতে পারে”।
রাদিয়া আহমেদ লুবনা/ নিজস্ব প্রতিবেদক
+1
+1
+1
+1
+1
+1
+1