এপ্রিলের ৪ তারিখ থেকে গত নয় দিন ধরে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন,যা ১৯৮৬ সালে পারমানবিক চুল্লি বিস্ফোরণে ধ্বংস হওয়া চেরনোবিল এর কাছেই ! দাবানলের একপাশের গতিমুখ এখন চেরনোবিলের প্রিপায়াত শহরে পরিত্যক্ত মূল পারমাণবিক চুল্লীর দিকে।
এই শহরটি হলো চেরনোবিল পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সার্ভিস টাউন। প্রিপায়াতের খুব কাছেই দাবানলের আগুন জ্বলছে। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুসারে আগুনটি এখন মূল চুল্লীর ১ কিলোমিটার দূরে নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে। ইমার্জেন্সি সার্ভিসের দেওয়া তথ্য অনুসারে এখনও কিছু কিছু জায়গায় আগুন জ্বলতে থাকলেও আগুনটি আর বাড়তে পারছে না।
এই শহরটি হলো চেরনোবিল পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সার্ভিস টাউন। প্রিপায়াতের খুব কাছেই দাবানলের আগুন জ্বলছে। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুসারে আগুনটি এখন মূল চুল্লীর ১ কিলোমিটার দূরে নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে। ইমার্জেন্সি সার্ভিসের দেওয়া তথ্য অনুসারে এখনও কিছু কিছু জায়গায় আগুন জ্বলতে থাকলেও আগুনটি আর বাড়তে পারছে না।
এদিকে আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংস্থা গ্রীনপিস জানিয়েছিলো, দাবানলটি ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ যা বলছে তার চেয়েও বড় ও বিস্তৃত। সংস্থাটির রাশিয়া শাখা রয়টার্সকে জানায়, সবচেয়ে বড় দাবানলটি ছিলো ৩৪ হাজার হেক্টর এলাকাজুড়ে।
এছাড়া দ্বিতীয় আরেকটি দাবানল ১২ হাজার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জ্বলছিলো। যা বর্তমানে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। এর একপাশ এগিয়ে যাচ্ছিলো মূল পারমাণবিক চুল্লীর দিকে— যেখানে মূলত পরিত্যক্ত পারমাণবিক বর্জ্য রয়েছে।
এছাড়া দ্বিতীয় আরেকটি দাবানল ১২ হাজার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জ্বলছিলো। যা বর্তমানে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। এর একপাশ এগিয়ে যাচ্ছিলো মূল পারমাণবিক চুল্লীর দিকে— যেখানে মূলত পরিত্যক্ত পারমাণবিক বর্জ্য রয়েছে।
দাবানল নেভাতে দেশটির দমকল বাহিনীর তিনশ সদস্য কাজ করছেন। আগুন নিয়ন্ত্রনে আসায় তারা আশা করছেন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোনো ক্ষতি এতে হবে না। তবে তাদের চেষ্টায় বাগড়া দিচ্ছে তীব্র বাতাস।
আর এই বাতাসই সবচেয়ে বেশি ভয় ধরাচ্ছে। বাতাসই পারমাণবিক বর্জ্যের তেজস্ক্রিয়তা পৌঁছে দিতে পারে দেশটির রাজধানী কিয়েভে। ১৬ মাইল দূরে অবস্থিত প্রিপিয়াত নদী। সেখানেও দূষণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আর এই বাতাসই সবচেয়ে বেশি ভয় ধরাচ্ছে। বাতাসই পারমাণবিক বর্জ্যের তেজস্ক্রিয়তা পৌঁছে দিতে পারে দেশটির রাজধানী কিয়েভে। ১৬ মাইল দূরে অবস্থিত প্রিপিয়াত নদী। সেখানেও দূষণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিবেশ নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থাগুলো দাবনলটি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। কারণ আগুন মাটি থেকে তেজস্ক্রিয়তা বের করবে। আর তা বাতাসের সাহায্যে ছড়িয়ে দেবে। গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়বে বলে তারা শঙ্কা করছেন।
এক্সক্লুশন জোন ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কিত ইউক্রেনের স্টেট এজেন্সির ভারপ্রাপ্ত প্রধান ক্যাটরায়না পাভলোভা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, আগুনের মধ্যে যে তেজস্ক্রিয়তা রয়েছে তা বলতে পারবো না।
আগুন পুরোপুরিভাবে নেভাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগুন ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ করতে দাবানল কবলিত এলাকায় হেলিকপ্টার থেকে ‘পানিবোমা’ নিক্ষেপ করেছে ইমার্জেন্সি সার্ভিস। ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত পারমানবিক কেন্দ্রের চারপাশে খাল খনন করেছে।
উল্লেখ্য বসন্তকালে ইউক্রেন ও রাশিয়ায় শুকনো ঘাস পুড়িয়ে দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে আর এতে ওইসব এলাকায় প্রায়ই দাবানলের ঘটনা ঘটে।এই দাবানলের সূত্রপাত ও হয়েছে এক স্থানীয়ের দেওয়া আগুনেই।
সাদিয়া বিনতে চৌধুরি / নিজস্ব প্রতিবেদক
সাদিয়া বিনতে চৌধুরি / নিজস্ব প্রতিবেদক
+1
+1
+1
+1
+1
+1
+1