বিজ্ঞানীরা অবশেষে মস্তিষ্কের কোষগুলির উদ্ভট আচরণ সমুহ নির্ণয় করতে পেরেছেন। এবং নির্ণয় পূর্বক সেই কোষ গুলোকে ছোট কম্পিউটার চিপস্ এ রুপান্তর করতে পেরেছেন।
ইউনিভার্সিটি অফ বাথ প্রেস এর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,”উদ্ভাবনকৃত এসব ছোট্ট নিউরনগুলি আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতি তৈরির পদ্ধতির পরিবর্তন করতে পারে। কেননা তারা স্বাস্থ্যকর জৈবিক ক্রিয়াকলাপের প্রতিরূপ তৈরি করে যার জন্য মাইক্রোপ্রসেসরগুলির প্রয়োজন মাত্র এক বিলিয়ন শক্তি”।
আবিষ্কৃত নিউরনগুলি দেহের অভ্যন্তরে বৈদ্যুতিক সার্কিটগুলির অনুরূপ আচরণ করে, তবে তাদের আচরণটি কম অনুমানযোগ্য। বিশেষত যখন তাদের ইনপুট এবং আউটপুট বৈদ্যুতিক আবেগগুলির(Impulse) মধ্যে সম্পর্কের বিশ্লেষন এর কথা আসে।
কিন্তু এই নতুন আবিষ্কৃত কৃত্রিম মস্তিষ্কের কোষগুলি মস্তিষ্কের দুটি নির্দিষ্ট অঞ্চল থেকে ইঁদুরের নিউরনের আচরণ সফলভাবে নকল করতে সক্ষম।
নেচার কমিউনিকেশনস এ প্রকাশিত এক গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে।ইউনিভার্সিটি অফ বাথের পদার্থবিদ আলাইন নোগারেট প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, “একটা সময় অবধি মস্তিষ্কের নিউরনগুলি আমাদের কাছে ব্লাক বক্সের মতো ছিল, তবে আমরা ব্ল্যাক বক্সটি খুলতে এবং ভিতরের আচরণ নিরুপন করতে পেরেছি।”
![]() |
তাদের দাবি তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি প্রস্তুতে এসব নিউরন ব্যবহার করা যেটা মুলত রোগীদের চাহিদা আরো ভালোভাবে মেটাতে সক্ষম হবে।
উদহারন হিসাবে বলা যায়,সেট হতে পারে একটি স্মার্ট পেসমেকার যা কোনও ব্যক্তির হার্ট এ নতুন চাপ এবং চাহিদার প্রতি সাড়া দিয়ে নিজেই পরিবর্তিত হতে পারে।
পরিশেষে বলা যায় এই আবিষ্কার এর মাধ্যমে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন হলো বিশেষ করে সেসব প্রতিবন্ধিদের জন্য যাদের চলাফেরা বা জীবন যাপনের জন্য অন্যের সাহায্য প্রয়োজন।