মাশরুম খেলে মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমে। গবেষণা থেকে জানা যায় যে, মাশরুম শুধু ক্যান্সার এবং অকালমৃত্যু-র ঝুঁকিই কমায় না বরং এটি উপকার করে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ও! মাশরুম-এর নানা পুষ্টিগুনের সুনামের সাথে এখন যুক্ত হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় ও ডিপ্রেশন প্রতিরোধে এটির অসাধারণ ভূমিকা। মাশরুম খাওয়া ও তার সাথে ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার উপরে গবেষকদের করা নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তারা মাশরুম খাওয়ার সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সুবিধাগুলো প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
মাশরুমে রয়েছে এমন এক ধরনের এমাইনো এসিড (Ergothioneine) যা মানবদেহ কর্তৃক সংশ্লেষিত হয় না। বেশি মাত্রায় এই এমাইনো এসিড দেহে থাকলে তা আমাদের স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশন এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
গবেষকদের মতে, মাশরুমে বিদ্যমান বিশেষ ধরনের এন্টি অক্সিডেন্ট (Ergothioneine) দেহের কোষ ও টিস্যু কে ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও এই এন্টি অক্সিডেন্ট বিভিন্ন মানসিক সমস্যা যেমন বাইপোলার ডিসর্ডার (অল্পতেই রেগে যাওয়া), বিষন্নতা, উদ্বেগ ইত্যাদি থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ২৪,০০০ এর বেশি প্রাপ্ত বয়স্কদের ‘ডায়েট এবং মানসিক স্বাস্থ্য’ নিয়ে গবেষণা করে দেখা যায় যে যাদের রেগুলার ডায়েট এ মাশরুম থাকে তাদের ডিপ্রেশনে ভোগার সম্ভাবনা খুবই কম।
বিশ্বব্যাপি সবচেয়ে বেশি যে মাশরুম উৎপাদিত হয় তা হলো সাদা মাশরুম; যেটিতে থাকা পটাশিয়াম (K) আমাদের উদ্বেগ/ দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া Hericium erinaceus নামক এক প্রজাতির মাশরুম ব্রেইন এর ‘গ্রোথ ফ্যাক্টর সংশ্লেষণ’ কে উদ্দীপনা যোগায় যা ডিপ্রেশনসহ বিভিন্ন মেন্টাল ডিসর্ডার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
গবেষকগণ কিছু মহিলাদের নিয়ে একটি গবেষণা করেন যাদের বয়স গড়ে ৪৫ বছর এবং তারা সবাই মাশরুম খেতে পছন্দ করেন। এই মহিলাদের ওপর গবেষনায় এটা দেখা যায় যে ‘মাশরুম জাতীয় খাদ্যগ্রহণ’ এবং ‘ডিপ্রেশন কম হওয়ার সম্ভাবনা’ এই দুইয়ের মধ্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র রয়েছে। তবে মাশরুম আসলেই ডিপ্রেশন কমানোর সাথে জড়িত কিনা তা জানার জন্য তাদের ডায়েটে মাশরুম এর বদলে আমিষ জাতীয় খাবার মাংস সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই খাবারের সাথে বিষণ্নতা কমার তেমন কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায় নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক/ রায়হান খন্দকার
তথ্যসূত্রঃ SCIENCE DAILY
+1
+1
2
+1
+1
+1
+1
+1