Martin Joe Laurello, the human owl.
গতকাল ‘মার্টিন জো লরেলো’ নামক এক ব্যক্তির ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছিল। ছবিতে দেখা গিয়েছে তিনি তাঁর মাথা ১৮০ ডিগ্রি কোণে ঘুরাতে পারেন। অনেকেই বলেছিলেন ছবিটি ফটোশপড বা ইডিটেড। না,ছবিটি ইডিটেড ছিল না। মার্টিন জো লরেলো সত্যিই তাঁর মাথাকে ১৮০ ডিগ্রি কোণে ঘুরাতে পারতেন। কিভাবে পারতেন তা নিয়েই আজকের পোস্ট।
তিনি কোনো রোগে আক্রান্ত ছিলেন না,এভাবেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন! তাহলে তাঁর এই যে শারীরিক দক্ষতা বা বিকলাঙ্গতা যা-ই বলা হোক, সেটা কীভাবে পেলেন তিনি?
তিনি জন্মগ্রহণ করার পর দেখা যায় তাঁর স্পাইনাল কর্ড অনেকখানি বাঁকা হয়ে পাকিয়ে (Twisted) রয়েছে। আর এই পাকানো স্পাইনাল কর্ড ই তাঁর ঘাড়কে প্রচুর পরিমাণে নমনীয়তা প্রদান করে। এটা বলা হয়ে থাকে যে, যখন তিনি তার মাথা ঘুরিয়ে পেছনের দিকে আনতেন, তখন তাঁর স্পাইনাল কর্ড দেখতে প্রশ্নবোধক চিহ্নের (?) মত হয়ে থাকতো।
তবে জন্মের পর থেকেই তিনি কিন্তু মাথা ঘুরিয়ে পুরোটা পেছনের দিকে আনতে পারতেন না। পুরোপুরি পেছনে আনতে তাঁকে অনেক পরিশ্রম এবং চর্চা করতে হয়েছে। তাঁর এই অস্বাভাবিকতাকে কাজে লাগানোর জন্য লরেলো প্রায় তিন বছর বিভিন্ন ধরনের চর্চা করে গেছেন। তার মধ্যে কিছু চর্চা ছিল শুধু তার ঘাড়ের মেরুদণ্ডের কিছু হাড়কে স্থানচ্যুত করা, যাতে তিনি তাঁর মাথাটা ঘুরিয়ে সম্পূর্ণ পেছনের দিকে আনতে পারেন! এতে তিনি সফলও হয়েছেন। এই অস্বাভাবিকতা কে কাজে লাগিয়েছেন তিনি বিভিন্ন সার্কাসে মানুষকে বিনোদন দেওয়ার মাধ্যমে। তাঁর মাথা ঘুরানোর এই অদ্ভুত ক্ষমতার কারণে তাঁকে নাম দেওয়া হয়েছিল ‘মানব পেঁচা’।
তবে কিছুটা অদ্ভুত ব্যাপার হলো মাথা পেছনে থাকা অবস্থায় তিনি মুখ দিয়ে যেকোনো তরল যেমন পানি, এলকোহল, জ্যুস পান করতে পারতেন কিন্তু কোনোভাবেই নিঃশ্বাস নিতে পারতেন না। এমনকি তিনি ধূমপানও করতে পারতেন সে অবস্থায়।
তাঁর সবচেয়ে প্রচলিত যে ছবিটি তোলা হয়েছিল ১৯৪০ সালে, যেখানে দেখা যায় লরেলো একটি সিগারেট দিয়ে ধূমপান করছেন যেখানে তার মাথা ছিল পেছনের দিকে ১৮০ ডিগ্রি কোণে ঘোরানো।
জাইমা ফেরদাউস নেহা / নিজস্ব প্রতিবেদক