প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর এবং বৈচিত্র্যময় খাদ্যাভ্যাস বৈচিত্র্যময় পুষ্টিতে ভরপুর। যেটি খাবার এবং স্বাদে বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি ঝুঁকি কমায় হৃদরোগের। নতুন রিসার্চ আমাদেরকে সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
30 বছরের বেশি সময়েরও তথ্য সংগ্রহ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক নিশ্চিত করেছেন স্পেসিফিক কোন একটি খাবারে হৃদরোগের রোগের ঝুঁকি কমাবে না বরং খাবারের মধ্যে বৈচিত্র্য এই ঝুঁকি কমাতে পারে। জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অন্য ব্যক্তিদের থেকে 21 শতাংশ কম হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা গিয়েছিল।
কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ (CVD) বলা হয় হৃদপিণ্ড এবং হৃদপিন্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে। হৃদরোগের ফলে সারা বিশ্বে প্রতিবছর বহু সংখ্যক মানুষ মৃত্যুবরণ করে।
CVD হয় মূলত রক্তনালীতে ফ্যাট জমা হওয়ার মাধ্যমে। ফ্যাট রক্তনালিতে জমে রক্তনালী বন্ধ হয়ে যায় এবং আর্টারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রক্ত জমাট বেঁধে যায়। যার ফলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে আমাদের ব্রেইন, চোখ এবং কিডনি। কারন এদের প্রধান খাবার গ্লুকোজ। আার গ্লুকোজ আসে রক্তের মাধ্যমে। রক্ত ঠিকমতো প্রবাহিত হতে না পারলে এরা গ্লুকোজ পায় না।
গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, যাদের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার বেশি ও তুলনামূলক বৈচিত্র্যময় ছিলো, তাদের কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ হবার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় ১৪-২১% কম পাওয়া গেছে। এই খাদ্যতালিকা একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে, কিন্তু তা সুষম হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
খাদ্যাভ্যাস এ বৈচিত্র্য আনার কথা বললেও রিসার্চাররা সবুজ শাকসবজি, ফলমূল এবং বাদাম খাওয়ার প্রতি বেশি জোর দিয়েছেন এবং মাংস এবং চিনি জাতীয় খাবার যেমন কোমল পানীয় গ্রহণ করা কমিয়ে ফেলতে বলেছেন। অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর বৈচিত্র্যময় ডায়েটারি রুটিন ফলো করতে বলেছেন। এই ডায়েটারির মধ্যে রয়েছে-
*পুরো জীবদ্দশায় একটি স্বাস্থ্যকর খাবার পদ্ধতি গ্রহণ করা
*বৈচিত্র্যতার দিকে নজর দেয়া এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়া
*চিনি এবং ফ্যাট যুক্ত খাবার কম খাওয়ার
*কোমল পানীয় পানের দিকে নজর রাখা
হৃদরোগ সকল দেশেই একটি দুঃস্বপ্নের নাম। যার ফলে আমাদের দেশেও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন কিংবা হৃদরোগ ইনস্টিটিউশন রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী ভর্তি আছে। সেজন্য আগে থেকেই আমাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় সতর্ক হতে হবে।
গোলাম কিবরিয়া/ নিজস্ব প্রতিবেদক
+1
1
+1
+1
2
+1
+1
+1
+1