স্যামসাং, ওয়ানপ্লাস এবং অ্যাপলের মতো স্মার্টফোন নির্মাতারা বর্তমান ফাস্ট চার্জিং স্ট্যান্ডার্ড ৩০ওয়াট এ সেট করেছে, কিছু অ্যান্ড্রয়েড ফোন প্রস্তুতকারক এমনকি ৫৫ওয়াট বা ৬৫ওয়াট চার্জারও অফার করছে। এর মানে হল, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি লাগানো আধুনিক ফোনগুলো মাত্র আধ ঘণ্টার চার্জিংয়ে সারা দিন চলবে। বেশকিছু অ্যান্ড্রয়েড ফোন নির্মাতারা ইতিমধ্যে ১০০ওয়াট এমনকি ১২০ওয়াট চার্জিং অ্যাডাপ্টারও প্রোভাইড করে থাকে।
ফাস্ট চার্জিং সিস্টেম এক কথায় অসাধারন একটি ফিচার, বর্তমান সময়ের পাওয়ার হাংরি সব ডিভাইসগুলো যেভাবে ব্যাটারির চার্জ ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে অল্প সময়ের ব্যবধানে দ্রুত চার্জিং ব্যবস্থা খুবই ফলপ্রসূ একটি ফিচার।
কিন্তু মূল যে প্রশ্নটি রয়েই যায় তা হলো, এই ফাস্ট চার্জিং ব্যবস্থা নামীদামী মোবাইলের জন্য ঠিক কতটুকু নিরাপদ বা ক্ষতিকর কিনা? দ্রুত চার্জিং কি সময়ের সাথে ব্যাটারির ক্ষতি করতে পারে, ফোনের অন্যান্য সফটওয়্যারেরও কি ক্ষতিসাধন করতে পারে? উত্তর হল, সত্যিই না। একটি ফাস্ট চার্জিং ফোনের হার্ডওয়্যারে কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটি কিংবা ব্যাটারির চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে দুর্বল সফটওয়্যার কন্ট্রোল থাকলে তখন মোবাইলটিতে ফাস্ট চার্জিং করলে ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারবে।
অনেকে আবার মনে করেন, মোবাইল ১০০% চার্জ হবার পর কেবল লাগিয়ে চার্জিং অবস্থাতেই রেখে দিলে তা মোবাইলের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এটি কিন্তু পুরোপুরি মিথ্যে, কেননা বর্তমান সময়ের সকল স্মার্টফোনেই ডেডিকেটেড চিপ থাকে যা চার্জ সম্পূর্ন হওয়ার পর অতিরিক্ত চার্জিং হওয়া এবং কেবলের সাথে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কাজ করে থাকে।
ফাস্ট চার্জিং মোবাইলে হিটিং সমস্যা তৈরি করে না, তবে আপনি যদি মোবাইল ১০-২০% চার্জে নামবার আগেই চার্জে দিয়ে দেন, তখন মোবাইলের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি সাধারণত দীর্ঘায়ু লাভ করবে। তাছাড়া, বিশেষজ্ঞরা মোবাইল চার্জিংয়ের সময় খোলামেলা পরিবেশেই চার্জিং করবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এছাড়াও, ফাস্ট চার্জিং ব্যবহার করে আরো বিভিন্ন উপায়ে আপনি ফোনের আয়ু বৃদ্ধি করতে পারেন। চার্জিংয়ের সময় মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকা অনেক কার্যকরী একটি উপায়। এতে আপনার ফোনের স্ক্রিন সচল থাকবে না বিধায় হিটিং ইস্যুজ ফেইস করতে হবেনা।