গবেষণায় দেখা গেছে যে গর্ভধারণের ঠিক আগ মুহূর্তে অর্থাৎ শেষ সময়ে ডিম্বাণুই বেছে নেয় সেই শক্তিশালী শুক্রাণু-কে।
নতুন এই গবেষণায় দেখা গেছে, রসায়ন ভিত্তিক পছন্দগুলো অর্থাৎ একজন মহিলা অন্য একজন পুরুষকে যেভাবে নির্বাচন করে বা পুরুষ একজন মহিলাকে সঙ্গমের জন্য যেভাবে নির্বাচন করে সেই রাসায়নিক চরিত্র গুলো যৌনতার পরেও থেকে যায়। এবং তখনও স্ত্রী ডিম্বক গুলো গর্ভধারনের জন্য সেই ভাগ্যবান শুক্রাণুটিকে নিজেই বেছে নেয়।
মূলত ডিম্বাণু এক রকমের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে যার নাম ‘কেমোএট্রাকট্যান্টস‘।
নিঃসৃত এই রাসায়নিক তরল টি এক ধরনের আবরণের সৃষ্টি করে যার ফলে স্পার্ম বা শুক্রাণু অনিষিক্ত ডিম্বানু খুঁজে পায় বলে জানিয়েছেন সুইডেনের স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিভাগের একজন অধ্যাপক ফিজপ্যাট্রিক।
তবে ফিজপেট্রিক আরো বলেন, তাদের সেই গবেষণায় জানা যায় যে, একেক শুক্রাণুর ক্ষেত্রে সেই আবরণটি একেকভাবে প্রভাব ফেলে। এই আবরণটি কিছু শুক্রাণুকে আকর্ষণ করে, আবার কিছু শুক্রাণুকে বিকর্ষণ করে। এবং এর মাধ্যমে সেই সফল শুক্রাণুটিই জয়ী হয়।
এর ফলে যা বোঝা যাচ্ছে তা হলো, এই রাসায়নিক পদার্থগুলোর মাধ্যমে মূলত স্ত্রী ডিম্বক আরো একটি সুযোগ পায় তার সঙ্গীকে বাছাই করার জন্য। এর পরে, ডিম্বকের দিকে যে শুক্রাণু সমূহ আসে তাদের মাঝেও এই রাসায়নিক পক্ষপাতিত্বের জোরেই ডিম্বানু বাছাই করে নেয় শুক্রাণুকে।
এবং এখানেই অন্যরকম অসাধারণ অনুসন্ধান হল, স্ত্রী ডিম্বাণু কখনোই তার সঙ্গীর নির্বাচনের সাথে সহমত বা সম্মত হয় না। ডিম্বক গুলো জিনগতভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ শুক্রাণুগুলোকেই বেছে নেয় বলে জানিয়েছেন ফিজপ্যাট্রিক।
আরও পড়ুনঃ ১। ব্যায়াম আমাদের স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহকে বৃদ্ধি করে ২। কৌতুহলঃ সফলতার অন্যতম চাবি-কাঠি |
সুইডেনের সেই গবেষকরা দেখতে পান, চিকিৎসারত ১৬ জন দম্পতি যারা কিনা প্রজনন সম্পর্কিত চিকিৎসা নিচ্ছিলেন; তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, স্ত্রী ডিম্বক গুলো যে রাসায়নিক তরল পদার্থ নিঃসরণ করে তা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সংখ্যক শুক্রাণুকেই আকৃষ্ট করে। তথ্যটি ‘Preceding of the Royal Society’ জার্নালে প্রকাশিত হয়।
সৈয়দ মহিউজ্জামান/ নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্যসূত্রঃ সি এন এন, নিউ ইয়র্ক পোস্ট