মানসিক স্বাস্থ্য সহায়িকার নতুন সংস্করণে জড় বস্তু যেমন জুতা, এই জাতীয় জিনিসের প্রতি যৌন আকর্ষণকে ফেটিশ ডিজঅর্ডার বা আচ্ছন্নতা ব্যাধি হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। তবে সেটা তখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে যখন তা কিছু নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণে সক্ষম হবে। যেমন ব্যক্তির উল্লেখযোগ্য বিপর্যয় ঘটানো বা অন্যের ক্ষতিসাধন ইত্যাদি।
ডিএসএম এর তথ্য অনুযায়ী একজন ফেটিশ ব্যাক্তি একাধিক সংবেদন গ্রহণে সক্ষম। এধরনের ব্যক্তিরা তাদের যৌনসঙ্গীকে স্বাদ, গন্ধ ইত্যাদি নানাবিধ সংবেদন গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের জিনিসটি পরিধানের জন্য জোর করতে থাকেন। এমনকি অনেক সময় পুরুষেরা ওই নির্দিষ্ট জড়বস্তুর অনুপস্থিতিতে নিজেদের যৌন ক্ষমতা সক্রিয় করতেও অপারগ হয়ে পড়েন। তবে ডিএসএম এর সর্বশেষ সংস্করণে পা কিংবা চুলের মত শরীরের নির্দিষ্ট অঙ্গগুলোর প্রতি তীব্র প্রেমমূলক আকর্ষণকেও ফেটিশিসমের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি কোন ব্যক্তি জুতার প্রতি যদি এতটাই নিয়ন্ত্রণহীন হোন যে নিজের চাকরিও ধরে রাখতে পারছেন না এবং অন্যদের জুতা চুরি করতে শুরু করেছেন তখন এই অস্বাভাবিকতাকে মানসিক ব্যাধি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অর্থাৎ ব্যক্তি যখন স্বাভাবিক কার্যকলাপের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তখনই তার সাথে ‘ডিসঅর্ডার’ বা ‘ব্যাধি’ শব্দটি জুড়ে দেয়া হয়।
প্রকৃতির স্বাভাবিকতাকে উপেক্ষা করে অস্বাভাবিকতাকে বয়ে নিয়ে পথচলা কখনোই কোন সহজ কাজ নয়। কখনো কখনো একজন ফেটিশ ব্যক্তিও অস্বস্তিবোধ করতে পারেন এই ভেবে যে জড়বস্তুর প্রতি তার এই অস্বাভাবিক আকর্ষণ কোন সাধারণ ঘটনা নয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তিনি কোন মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত। তার এই আকর্ষণ নিয়ন্ত্রণের মাঝে থাকলে তা কোনো সমস্যা নয়।