সিনেমার কাহিনীকেও যেনো হার মানালো চীনে মৃত্যুপথযাত্রী এক রোগীর সফল অস্ত্রোপচার। করোনায় ফুসফুস বিকল হওয়ার পর, অনেকটা অলৌকিকভাবে তার জোড়া ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ৬৫ বছর বয়সী চুই ঝিকিয়াংকে বাঁচাতে একজোট হয়েছিলেন দেশটির সেরা চিকিৎসকরা। উহানে দ্রুত ফুসফুস বয়ে আনতে বিমান আর অ্যাম্বুলেন্সও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এক প্রদেশ থেকে আরেক প্রদেশে উড়ে চলছে বিশেষ বিমান, বিশেষ বক্স নিয়ে দৌড় ডাক্তারদের, জীবন বাঁচানোর লড়াই, বক্সের ভেতরে রয়েছে একজোড়া জীবন্ত ফুসফুস, একটু দেরি হলেই হয়ে যাবে ফুসফুস বিকল, বাঁচানো যাবে না চুইকে। ইউনান প্রদেশ থেকে উহান প্রদেশে নিয়ে আসা হয় এই ফুসফুস।
উহান প্রদেশের বাসিন্দা চুই ঝিকিয়াংকের দুটো ফুসফুসই বিকল হয়েছে করোনায়, পরে দেহ করোনামুক্ত হলেও বিকল থেকে যায় ফুসফুস। বাধ্য হয়ে টানা ৬২ দিন রাখা হয় কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে৷ চিকিৎসকরা জানান দুটো ফুসফুসই প্রতিস্থাপন না হলে বাঁচানো যাবে না রোগী। ৩/৪ দিনের মধ্যে যদি ফুসফুস প্রতিস্থাপন না করা হয় তাহলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব নয় – জানায় বিশেষ মেডিকেল বোর্ড।
আবারও সিনেমার মতো ঘটনা, ২০০০ কিলোমিটার দুরে ইউনান প্রদেশে ব্রেইনস্ট্রোকে মারা যায় এক ব্যক্তি যার ফুসফুস মিলে যায় চুই এর সঙ্গে, মৃত্যুর সাথে সাথে পরিবার থেকে অনুমতি নিয়ে বের করে আনা হয় ফুসফুস এবং নিয়ে যাওয়া হয় চুই এর জন্য। সেদিনই হয় অস্ত্রোপাচার, দেশের সেরা চিকিৎসকরা একজোট হয়ে লড়ে এই ঐতিহাসিক লড়াইয়ে, কারণ এটিই বিশ্বের প্রথম জোড়া ফুসফুস প্রতিস্থাপন।
দীর্ঘ আটঘন্টার সফল অস্ত্রোপাচারের পর নতুন জোড়া ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হয় চুই এর শরীরে। বিরল এই অস্ত্রোপাচারের ২ সপ্তাহ পর পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন চুই। ঠিক ১৯ দিন পর খাবারও খেয়েছেন নতুন জীবন পাওয়া চুই ঝিকিয়াংকি।
বিস্তারিত প্রতিবেদন…
মবিন সিকদার / নিজস্ব প্রতিবেদক