করোনা প্রতিরোধে ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতার নিশ্চয়তা নেই, খাপ খাইয়ে নিতে হবে- বলেছেন বিশেষজ্ঞরা ! বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মানব সভ্যতার জন্য হুমকিস্বরূপ । ভাইরাসটির কারণে বিশ্ব-অর্থনীতির এখন শোচনীয় অবস্থা।
ভাইরাসটি মোকাবেলায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীরা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছিল, আঠারো মাস সময় লাগতে পারে ভ্যাকসিন তৈরি হতে। কিন্তু, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-১৯(COVID-19) মোকাবেলায় ভ্যাকসিন আমাদের রক্ষা করতে পারবে এই নিশ্চয়তা দেয়া যাচ্ছে না।
ন্যাবারো আরো বলেছেন, “জনসাধারণের এটি ধরে নেওয়া উচিত নয় যে খুব শীঘ্রই একটি ভ্যাকসিন তৈরি করা যাবে এবং তাই তাদের চলমান অবস্থার সাথে মানিয়ে নেওয়া উচিত। আপনি খুব সহজেই কোন ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবেন না। কিছু ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করা অত্যন্ত কঠিন, তাই ভবিষ্যতের জন্য আমাদেরকে এই ভাইরাসের সাথে ধীরে ধীরে খাপ খাইয়ে বা মানিয়ে নিতে হবে।
এর অর্থ হচ্ছে যাদের মধ্যে রোগের লক্ষণগুলি প্রকাশ পেয়েছে তাদেরকে এবং তাদের সংস্পর্শে আশা ব্যক্তিদের আইসোলেশনে রাখতে হবে বা আলাদা রাখতে হবে। এটি আমাদের জন্য নতুন ধরনের “স্বাভাবিক জীবন” হতে চলেছে।”
বিভিন্ন দেশ করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছে বলে দাবি জানিয়েছে, এমনকি শুরু হয়ে গেছে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। কিন্তু, বাজারজাতকরণের আগে যে কোন প্রতিষেধক বা টিকা লম্বা সময় ধরে হাজারখানেক বা তার বেশি সংখ্যক বিভিন্ন বয়স, পরিবেশ ও বৈশিষ্ট্যের মানুষের ওপর প্রয়োগ করতে হয়।
অর্থাৎ, ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলেও তা অনুমোদন পেতে অনেক সময় কয়েক বছর লাগে কারণ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হতে চায় এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাছাড়া , ভ্যাকসিন ঠিক কতটুকু সুরক্ষা দিতে পারবে তার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। গবেষকেরা তাই খাপ খাইয়ে নেয়ার উপরই বেশি জোর দিয়েছেন।
সোর্সঃ দ্যা গার্ডিয়ান
জাকিয়া তিশা / নিজস্ব প্রতিবেদক