অবশেষে মেনিসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সত্য হলো, দেশের প্রথম পঙ্গপালের উপস্থিতি দেখা মেলেছে কক্সবাজার জেলার টেকনাফে। কীটবিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন “এটি মিয়ানমার অথবা ভারত থেকে এসেছে, এখনই দমানো না গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, পঙ্গপালেরা একদিনে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের খাবার সাবাড় করে দিতে পারে। “
টেকনাফের লম্বরি গ্রামের বাগানে অস্বাভাবিক ধরণের পোকার আক্রমণ দেখে স্থানীয় একজন ভিডিও পাঠায়। ভিডিওটি দেখে কীটবিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হোন এগুলোই পঙপাল। এর আগে ভিডিও সোশাল মিডিয়াতে আসে, সেখানে দেখা যায় পঙ্গপালের মত পোকার আক্রমণে বসতভিটার গাছপালা ও বাগানের গাছ খেয়ে সাবাড় করে ফেলছে।
শত শত পোকা দল বেধে গাছের পাতা ও শাখায় বসে একের পর এক গাছের পাতা খেয়ে নষ্ট করছে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছেড়ে দেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ছবি তুলে কৃষি গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে।
সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে টেকনাফ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: শফিউল আলম বলেন, পোকার ছবি কক্সবাজার জেলা অফিসে পাঠিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি দেখতে পঙ্গপাল মতো। পঙ্গপালের পাখা থাকে এবং সহজে উড়তে পারে। এটির তেমন পাখা দেখা যায়নি এবং এদিক ওদিক লাফাতে পাড়ে।
তবে যেহেতু কাচাঁ পাতা খেয়ে ফেলছে তাই এটি ক্ষতিকর পোকা। কিন্তু শেষপর্যন্ত কীটবিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করলো এগুলোই পঙ্গপালের জাত, বিস্তারিত ভিডিওতে…