এই তো এক বছর আগেই মহামারী করোনা ভাইরাসের কবল হতে রক্ষা পেয়ে বিশ্ব কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠছিলো। এরই মাঝে দেখা দিয়েছে নতুন শঙ্কার। ২০২২ সাল হতে আফ্রিকান দেশগুলোতে এমপক্স ভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন Clade 1 ভয়াবহভাবে ছড়ানো শুরু করে। ২০২৪ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত ভাইরাসটি আফ্রিকান দেশগুলো ছাড়িয়ে এবার আরো দুইটি দেশ (সর্বশেষ তথ্যমতে) পাকিস্তান এবং সুইডিশেও প্রথম Clade 1 স্ট্রেইনে আক্রান্ত ব্যক্তির ঘটনা জানা গেছে।
Pakistan Ministry of National Health Services জানায়, আক্রান্ত ব্যক্তিটি সৌদি আরব থেকে এসেছিল। অন্যদিকে, Swedish Health Officials জানায়, তাদের দেশে আক্রান্ত হওয়া প্রথম ব্যক্তি আফ্রিকাতে ভ্রমণরত অবস্থায় ছিলেন এবং সেখান থেকেই আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরে আসেন।
বর্তমানে চলমান গবেষণা থেকে জানা যায় যে, Clade 1 এর সংক্রমণ ক্ষমতা গুরুতর এবং ঘনিষ্ঠ কিংবা যৌন সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে খুবই সহজে ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত এমপক্স রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া না গেলেও এই রোগ নিয়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এমপক্সের লক্ষ্মণ দেখা দিলে সন্দেহভাজনদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন ১৬২৬৩ ও ১০৬৫৫ নম্বরে দ্রুত যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া এয়ারপোর্টে বাড়ানো হয়েছে বিশেষ নজরদারি।
কিন্তু কী এই এমপক্স (মাঙ্কিপক্স)?
এমপক্স মূলত এক ধরনের সংক্রমণজনিত রোগ যা জুনোটিক (প্রাণী দেহ হতে মানুষের দেহে সংক্রমণক্ষম ভাইরাস) মাঙ্কিপক্স ভাইরাস এর মাধ্যমে ছড়ায়। এই ভাইরাসটি মূলত অর্থোপক্স ভাইরাস গোত্রের। ভ্যারিওলা ভাইরাস, যার মাধ্যমে গুটিবসন্ত হয়ে থাকে, তাও এই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এমপক্স সাধারণত মৃদু লক্ষণ দেখিয়ে থাকলেও, এই রোগে চরম অসুস্থতা, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এমপক্স ভাইরাসের দুই ধরনের Clade বিদ্যমান: Clade 1 এবং Clade 2। ২০২২ সালে Clade 2 স্ট্রেইনটি দ্রুত এবং বেশি পরিমাণে ছড়ানো শুরু করলেও বর্তমানে তার জায়গা দখল করে নিয়েছে Clade 1। ভাইরাল Clade বলতে এমন কিছু ভাইরাসের সমষ্টি বুঝায় যাদের জেনেটিক সিকোয়েন্স একই রকম থাকে এবং একটি সাধারণ পূর্বপুরুষ হতেই বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে এই ভাইরাসগুলোর জন্ম হয়ে থাকে।
Clade 2 এর সংক্রমণ ক্ষমতা মৃদু হলেও Clade 1 এর সংক্রমণ ক্ষমতা মারাত্মক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমানে এমপক্স ভাইরাসের যে স্ট্রেইনটি ছড়াচ্ছে তা মূলত Clade 1।
এমপক্স যেভাবে ছড়ায়
যেকোন ব্যক্তিই এমপক্স দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। এটি সাধারণত:
- আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে (স্পর্শ, যৌন সম্পর্ক স্থাপন)
- আক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে, কামড় অথবা হেঁচড়ের মাধ্যমে, রান্না করে খাওয়ার মাধ্যমে
- দূষিত চাদর, কাপড় কিংবা সুই ব্যবহারের মাধ্যমে
- গর্ভবতী নারী থেকে ফিটাসের দেহে প্রবেশ
ভাইরাসটি দেহের ফেঁটে যাওয়া চামড়া বা শ্লেষ্মাযুক্ত অংশ (যেমন, মুখগহ্বর, গলবিল, চোখ, যৌনাঙ্গ, পায়ুপথ) এর মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারে। পরবর্তীতে ভাইরাস রক্তের সাথে শরীরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং ফ্লু’র মতো লক্ষ্মণ প্রকাশ করে, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের সৃষ্টি করে।
এমপক্স রোগের লক্ষ্মণ এবং উপসর্গ
এমপক্স রোগের লক্ষ্মণ এবং উপসর্গ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এক সপ্তাহের মাঝেই দেখা দেয়, তবে ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ১-২১ দিনের মাঝেও লক্ষ্মণ দেখা দিতে পারে। রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর লক্ষ্মণগুলো ২-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে, তবুও যদি আক্রান্ত ব্যক্তির রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল হয়ে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে এই রোগ আরো দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
আফ্রিকা সিডিসি এর চীফ অফ স্টাফ ডা: এনগাশি এনগোঙ্গো বলেন,
“এটি একটি রোগ। যদি আপনার ক্ষেত্রে এই রোগের লক্ষ্মণ তীব্র হয়ে থাকে, তাহলে আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাছাড়া এই রোগ হতে দুই থেকে চার সপ্তাহের মাঝে আরোগ্য লাভ করা যায় এবং সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করে।”
এমপক্স এর সাধারণ লক্ষ্মণগুলো হলো:
- ফুসকুড়ি
- জ্বর
- গলা ব্যথা
- মাথাব্যথা
- মাংসপেশী ব্যথা
- পিঠে ব্যথা
- দূর্বল বোধ করা
- লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া
কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষ্মণ হিসেবে ফুসকুড়ি দেখা দেয়, আবার অন্য ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অন্য লক্ষ্মণও প্রথমে দেখা দিতে পারে।
চ্যাপ্টা ঘা রূপে ফুসকুড়ি শুরু হয়, পরবর্তীতে ঘা এর ভিতর তরল জমে ফুলে উঠে এবং এটি চুলকানি বা ব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে। ফুসকুড়ি সেরে উঠা শুরু করলে, ঘা এর ভিতরে থাকা তরল শুকিয়ে যায় এবং আলগা চামড়া হিসেবে উঠে আসে।
শরীরের যেসব স্থানে ফুসকুড়ি দেখা যেতে পারে:
- হাতের তালু ও পায়ের তলায়
- মুখমন্ডল এবং গলায়
- কুঁচকি এবং গোপনাঙ্গে
- মলদ্বারে
মূলত ফুসকুড়ির কারণেই এমপক্স এ আক্রান্ত বহু লোকের মলদ্বার ফুলে যায় এবং মলমূত্র ত্যাগে ব্যথা অনুভব করে।
সাধারণত এমপক্স ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার পর থেকেই মাংসপেশী তে ব্যথা এবং স্বরভঙ্গের মতো লক্ষ্মণ দেখা দেয়। ধীরে ধীরে মুখমন্ডল হতে শুরু করে পুরো দেহে ফুসকুড়ি দেখা দিতে শুরু করে এবং ২-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে। কিন্তু ২০২২ সাল হতে এমপক্স ভাইরাসের যে নতুন স্ট্রেইন Clade 1 ছড়াচ্ছে তার রোগাক্রমণের ধরণ এবং লক্ষ্মণে কিছুটা ভিন্নতা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে কোনো রকম ব্যথা অনুভব হওয়া ছাড়াও হঠাৎ ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে এবং তা শরীরের যেকোন অঙ্গ হতেই শুরু হতে পারে।
কারা এই রোগের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে?
শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং দূর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষম ব্যক্তিরা এই রোগের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। গর্ভাবস্থায় এমপক্স দ্বারা আক্রান্ত হলে গর্ভপাত, মৃত শিশু প্রসব, প্রিম্যাচিউর ডেলিভারি বা অকাল প্রসব, এমনকি নবজাতক শিশুও এই রোগ নিয়ে জন্ম নিতে পারে।
বাচ্চা জন্মদানের পর মা যদি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে বাচ্চাকে মায়ের শালদুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। ফুসকুড়ি পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ার পর, নতুন চামড়া না উঠা পর্যন্ত এই কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
এমপক্স এর সাথে জড়িত অন্যান্য জটিলতা
এমপক্স রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে ত্বকে ফুসকুড়ি উঠার পর কোনো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে ত্বকের মারাত্মক স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। অন্যান্য জটিলতার মাঝে নিউমোনিয়া, কর্নিয়ার সংক্রমণের মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি হারানো, খাবার গিলতে অসুবিধা, বমি বা ডায়রিয়ার কারণে তীব্র ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়া, সেপসিস (রক্তের সংক্রমণ সহ শরীরের সর্বত্র ব্যাপক ব্যথা অনুভব করা), মস্তিষ্কের প্রদাহ (এনসেফালাইটিস), মায়োকার্ডাইটিস, প্রোক্টাইটিস, ইউরেথ্রাইটিস, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এমপক্স শনাক্তকরণ
অন্যান্য সংক্রমণ এবং রোগের লক্ষ্মণের সাথে মিল থাকায় এমপক্স শনাক্ত করা যথেষ্ট কঠিন। চিকেন পক্স বা গুটিবসন্ত, স্ক্যাবিস, হাম, ব্যাকটেরিয়া জনিত ত্বকের সংক্রমণ, হারপিস, সিফিলিস, অন্যান্য যৌন সংক্রমণযোগ্য রোগ এবং অ্যালার্জি থেকে এমপক্স কে আলাদা করা গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে, সন্দেহভাজন এমপক্সে আক্রান্ত একটি শিশুর আসলে এমপক্স না হয়ে গুটিবসন্ত ও হতে পারে৷ এই কারণগুলোর জন্যই, সন্দেহ হওয়ার সাথে সাথেই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
পরীক্ষাগারে এমপক্স শনাক্তকরণের জন্য পলিমারেজ চেইন রিয়েকশন (পিসিআর) দ্বারা ভাইরাল ডিএনএ শনাক্ত করা হয়। এর জন্য মূলত ত্বকের ফুসকুড়ি থেকে তরল সংগ্রহের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ত্বকে ফুসকুড়ি অনুপস্থিত থাকলে অরোফ্যারিঞ্জিয়াল (মুখগহ্বর এর পিছনের অংশ), মলদ্বার থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
রক্ত পরীক্ষা দ্বারা এই রোগ শনাক্ত করা সম্ভব নয়। কেননা রক্তে তৈরি অ্যান্টিবডি অর্থোপক্স ভাইরাস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য ভাইরাস গুলো থেকে এমপক্স ভাইরাসকে আলাদাভাবে শনাক্ত করতে পারে না।
চিকিৎসা এবং ভ্যাক্সিনেশন
এমপক্সে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে ফুসকুড়ি যাতে খারাপ পর্যায়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা এবং যত্ন নেয়া, ব্যথা যথাসম্ভব কমিয়ে আনা এবং রোগ জটিল পর্যায়ে যাতে না যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এমপক্স রোগের ভ্যাক্সিন গ্রহণ করার মাধ্যমে এই রোগ কিছুটা প্রতিরোধ করা সম্ভব। সংক্রমিত হওয়ার আগেই এই ভ্যাক্সিন গ্রহণ করা উচিত, তবুও কেউ যদি আক্রান্ত ব্যক্রির সংস্পর্শে এসে থাকেন তাহলে সংস্পর্শে আসার ৪ দিনের মাঝেই ভ্যাক্সিন গ্রহণ করা উত্তম।
এমপক্স রোগ প্রতিরোধ
এমপক্স রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। তবে এই রোগ নিয়ে গবেষণা এখনও বিদ্যমান। তাই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।
এমপক্স রোগে আক্রান্ত হলে করণীয়:
- রোগে আক্রান্ত হলে যথাসম্ভব বাড়িতে অবস্থান করা এবং নিজকক্ষে অবস্থান করা।
- প্রতিনিয়ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধৌত করা, বিশেষ করে ক্ষত স্থানে হাত দেয়ার আগে এবং পরে।
- মাস্ক পরিধান করা এবং মানুষের আশেপাশে অবস্থান করলে যথাসম্ভব ত্বকের ফুসকুড়ি চাদর দিয়ে ঢেকে রাখা, অন্তত যতদিন না পর্যন্ত ফুসকুড়ি শুকিয়ে নতুন ত্বক দেখা না যায়।
- যদি নিজ কক্ষে অন্য কেউ অবস্থান না করে তাহলে ত্বক যথাসম্ভব শুষ্ক এবং উন্মুক্ত রাখা উচিত।
- আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য সকল ব্যবহারকৃত জিনিসপত্র আলাদা রাখা।
- লবণ পানি দিয়ে কুলি করা।
- শরীরে ফুসকুড়ি থাকলে গোসলের সময় কুসুম গরম পানির সাথে বেকিং সোডা বা ইপসম লবণ ব্যবহার করা।
- ব্যথানাশক হিসেবে প্যারাসিটামল (অ্যাসিটামিনোফেন) বা আইবুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ গ্রহণ।
এমপক্স রোগে আক্রান্ত হলে বর্জনীয়:
- ঘা ফুটিয়ে ফেলা বা হেঁচড় দেয়া, এতে ক্ষতস্থানে অন্য ব্যাকটেরিয়া সহজেই সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
- ফুসকুড়ি সম্পূর্ণ রূপে শুকিয়ে নতুন ত্বক না দেখা যাওয়া পর্যন্ত আক্রান্ত স্থানে শেভ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এমপক্স রোগ ছড়ানো প্রতিরোধে আক্রান্ত ব্যক্তিকে যথাসম্ভব বাড়িতে বা হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা প্রয়োজন, যতদিন না আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসকুড়ি শুকিয়ে নতুন সজীব ত্বকের দেখা না মিলে।
এমপক্স কী মহামারীতে রূপ নিতে পারে?
এমপক্স মহামারীতে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা কিছুটা কম। সোয়াইন ফ্লু এবং কোভিড-১৯ এর মতো সাম্প্রতিক মহামারীগুলো সাধারণত বায়ুবাহিত ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণ ঘটাতো। আরও বড় ভয় ছিল যে এই রোগগুলোতে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো লক্ষ্মণ দেখা যেত না। যার দরুণ খুব সহজেই এই ভাইরাস একজন থেকে আরেকজনের কাছে ছড়িয়ে পড়তো।
এমপক্সের ক্ষেত্রে ভাইরাস সংস্পর্শ ব্যতীত ছড়াতে পারে না এবং আরো স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক পর্যায়েই লক্ষ্মণ প্রকাশ পায়। যার দরুণ রোগীকে অন্যান্য সুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে রেখে চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে খুব বেশি ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ ছাড়া এই রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই বলে এই রোগ মহামারীতে রূপ নেয়ার সম্ভাবনাও কিছুটা কম।
এমপক্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ভয় নয়, বরং সচেতনতার মাধ্যমেই জয় লাভ করা সম্ভব। তাই মাঙ্কিপক্স ভাইরাস সম্পর্কে জেনে নিজেও সচেতন হই এবং অন্যদেরকেও জানিয়ে সতর্ক করে তুলি।
দিদারুল ইসলাম / নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন, সিডিসি.গভ, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ