একদমই সত্য নয় ৷ অম্লধর্মী হলেই অ্যাসিড বৃষ্টি ঘটবে এমনটা নয় ৷ H₂O₂ মৃদু অম্লধর্মী ৷ সাধারণ বৃষ্টির পানি বরং এর চেয়ে বেশি অম্লধর্মী ৷ H₂O₂ এর pH 6.2 এবং সাধারণ বৃষ্টির pH 5.0 - 5.5 যা অ্যাসিড বৃষ্টিতে 4.0 তে নামে ৷ আমাদের পাকস্থলির অ্যাসিডের ph 1.5 - 3.5 ৷ H₂O₂ সাধারণ তাপমাত্রায় পানির মতো তরল তবে কিছুটা বেশি ঘন ৷
গ্যাসীয় অবস্থায় খুব সামান্য পরিমাণে এটা বায়ুমণ্ডলে থাকে ৷ বায়ুমণ্ডলে এর স্বাভাবিক পরিমাণ ০.০১ পিপিএম যা বাতাসে যতটুকু ক্রিপ্টন গ্যাস আছে তার ১১৪ ভাগের ১ ভাগের সমান ৷ গ্যাসীয় অবস্থায় কিছুটা অস্থায়ী এবং অক্সিজেন ও জলীয়বাষ্পে বিয়োজিত হয় ৷ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড বাতাসে কোনো রকম অ্যাসিড তৈরি করে না কারণ গ্যাসীয় অবস্থায় পানির সাথে বিক্রিয়াই করে না ৷ তরল অবস্থায় পানিতে দ্রবীভূত হয়ে হাইড্রোনিয়াম ও হাইড্রক্সিল আয়নে বিভাজিত হয় ৷ তরল H₂O₂ ও CO₂ (কার্বন ডাইঅক্সাইড) মিশিয়ে তাতে বিদ্যুৎ চালনা করলে অক্সালিক অ্যাসিড তৈরি হয় যা বাতাসে গ্যাসীয় অবস্থায় হয় না ৷ অ্যাসিড বৃষ্টি ঘটায় কার্বন ডাইঅক্সাইড (কার্বনিক অ্যাসিড), সালফার ডাইঅক্সাইড (সালফিউরাস অ্যাসিড), নাইট্রিক অক্সাইড (নাইট্রিক অ্যাসিড) ও নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (নাইট্রাস অ্যাসিড) নামক এই চারটি গ্যাস ৷ H₂O₂ এর জলীয় দ্রবণ সালফিউরাস অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া করে সালফিউরিক অ্যাসিড তৈরি করে কিন্তু বাতাসে তো জলীয় দ্রবণ তৈরি হয় না ৷ গ্যাসীয় H₂O₂ পানিতে মিশবে না ৷ তাছাড়া কন্টেইনারে H₂O₂ 60% জলীয় দ্রবণ আকারে থাকে যার অনেক বড় অংশ ঐ ভয়ানক আগুনে ভেঙে পানি ও অক্সিজেন তৈরি করে ফেলেছে ৷ যা বাকি থাকবে তা জলীয় দ্রবণ আকারে পড়ে থাকবে, সে তো উদ্বায়ী নয় ৷ বাতাসে খুবই সামান্য পরিমাণে মিশবে ৷
তবে অধিক মাত্রায় H₂O₂ যুক্ত বাতাসে শ্বাস নিলে শ্বাসকষ্টসহ ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে যা কেবল পরীক্ষাগারেই দুর্ঘটনাবশত সম্ভব৷
© রাশিক আজমাইন (সায়েন্স বী)