ট্রাফিক জ্যাম, পুরো বিশ্বের জন্যই যা এক সমস্যা। ভবিষ্যতে এর সমাধান কী? তা চিন্তা করার এখনই সময়।
২০১৫ সালে বিশ্বের রাস্তায় মোটর গাড়ির সংখ্যা ছিলো প্রায় ১.৩ বিলিয়ন, যেটি ২০৪০ এ হবে ২ বিলিয়ন এরও বেশি! যতো উপায়ই গ্রহণ করা হোক না কেন আমাদের জায়গার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই অদূর ভবিষ্যতেই এক বিশাল সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বেশি দূরে না,
এক ঢাকাতেই ২০৩৫ এর মধ্যে মোটরগাড়ির গড় গতি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের হাঁটার গড় গতির চেয়েও কম হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, সাবওয়ে স্টেশন- এগোলো ট্রাফিক সমস্যা কমাবে সন্দেহ নেই, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সই এখন অন্যতম অবলম্বন ভাবা হচ্ছে। এটি কাজ করবে ট্রাফিক ক্যামেরাসহ বিভিন্ন সেন্সরের সহায়তায়।
ট্রাফিক,ক্যামেরাগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নজরদারি করবে এবং এই তথ্যগুলো পাঠানো হবে মূল কন্ট্রোল সেন্টারে। সেখানে পূর্ব অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন অ্যালগরিদম এর সহায়তায় কম্পিউটার সেই নির্দিষ্ট সড়কে ট্রাফিকের ঘনত্ব এবং প্যাটার্ন নির্ণয় করবে ও সেই অনুসারে ট্রাফিক লাইটগুলোকে নির্দেশনা দিবে। অর্থাৎ বর্তমান প্রথাগত নিয়মে কোনো ইন্টারসেকশনে সব সড়কগুলোকে সমান সময় দিবে না। বরং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রতি সেকেন্ডে তথ্য সংগ্রহ করে সেই অনুসারে নির্দেশনা দিয়ে সর্বোচ্চ সুবিধাজনকভাবে ট্রাফিককে সচল রাখতে সচেষ্ট থাকবে!
যেহেতু দিনদিন ট্রাফিকসমূহ মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন তারবিহীন প্রযুক্তির সাহায্যে আরো বেশি কানেক্টেড হচ্ছে তাই এগুলোর মাধ্যমেও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর তথ্যাবলি আরো সমৃদ্ধ হতে পারে।
The Alan Turing Institute এবং Toyota Mobility Foundation আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে নতুন প্রজেক্টে কাজ করছে। তারা সিমুলেশনের সাহায্যে বিভিন্ন জটিল সমস্যার সৃষ্টি করার মাধ্যমে প্রযুক্তিকে নতুন কোনো পরিস্থিতির পূর্বাভাসের শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর আগমন আমাদের জীবনে কিছুটা হলেও সবুজ বাতি বয়ে আনবে। তার জন্য দরকার আরেকটু অপেক্ষার।
+1
+1
+1
+1
+1
+1
+1