“Love is in its ultimate analysis nothing but a chemical reaction.”
মানুষের আবেগ, অনুভূতি ও ভালবাসার নেপথ্যে রয়েছে কতকগুলি জৈব রাসায়নিক পদার্থের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া। স্নায়ুবিজ্ঞানের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের প্রেমে পড়লে তার মস্তিষ্কে ধারাবাহিকভাবে কিছু নির্দিষ্ট রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়। এ রাসায়নিক পদার্থগুলো হলো-
▪ফেরোমোনস (Pheromones)
▪ডোপামিন (Dopamine)
▪নরপিনেফ্রাইন (Norepinephrine)
▪সেরেটোনিন (serotonin)
আমাদের মস্তিষ্কের হিপোথ্যালামাস এ ধরনের হরমোন রিলিজ হয় যা আমাদের রিলিজ হয় আমাদের পার্টিকুলার যেকোনো কাজ এর পর আমরা যে অনুভূতি পাই ।
আর এই হরমোন রিলিজ হবার সাথে স্মৃতি শক্তির বা নিউরন এর একটা কানেকশন আছে, মানুষ টিভিতে বিভিন্ন গান দেখে বা মুভি দেখে বা জীবনের বিভিন্ন স্টেজ থেকে অভিজ্ঞতাটা অর্জন করে এবং মজা পেতে থাকে ৷
আচ্ছা মজা পেল বা কান্না পেল এর সাথে প্রেম এর সম্পর্ক কী?
আছে,এখানেই আসল টুইস্ট।
আমাদের নিউরন গুলোর মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন ইলেক্ট্রো ক্যামিকাল ডেটা সমূহ বিভিন্ন কাজের জন্য প্যাটার্ন আকারে যায়।
আর এটাকে বলে সর্ট টার্ম ম্যামরি, আর যখন বার বার, বার বার, একই পথে নিউরন যায় তখন সেটা লং-টার্ম ম্যামরীতে কনভার্ট হয়৷
এখন ধরে নিন আমি কাউকে দেখলাম রাস্তায়, সে ভীষণ রকম সুন্দর, আমি আমার ফ্রেন্ড কে বললাম “দেখ,মেয়ে টা কি সুন্দর।”
সাথে সাথে আমার হার্ট রেট উপরে, রেস্পিরেশন রেট উপরে, আর এগুলো হয় আমাদের মস্তিষ্কের হিপোথ্যালামাস এ একটা হরমোন রিলিজ হয় নাম তার ডোপামিন ♥।
আচ্ছা এখন এটা কি প্রেম? না এটা একটা ভালো লাগা, আর হরমোন রিলিজ হবার প্রশান্তি।
এখন ব্রেইন কিন্তু মনে রেখেছে কোন প্যাটার্ন এ নিউরনের মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রো ক্যামিক্যাল পরিচালিত হলে সে এই অনুভূতি পায়।
এখন ব্রেইন তো হারামি সে বার বার এই অনুভূতি পেতে চায়, তো সে সে সেই অনুযায়ী মানুষ কে পাঠায় ঐ রাস্তায় যেখানে সেই মেয়ে আছে 😅।
কীভাবে পাঠায়? সেই লং-টার্ম ম্যামরী থেকে। আবার মানুষ যায় আবার সেই বুকের মধ্যে ধুক ধুক, ধুক ধুক । আবার হরমোন রিলিজ আবার সেই অনুভূতি! ♥♥
আর প্রেম হচ্ছে এর সমন্বিত রূপ, আমাদের, সুখের, দুঃখের, অবাক হবার, কান্নার, হাসির, সেক্সুয়াল সেনসিটিভিটি বা প্লেজার, সব কিছুর জন্য দ্বায়ী হিপোথ্যালামাস এ রিলিজ হতে থাকা ডোপামিন । আবার নেশা যারা করে তাদের মস্তিষ্কেও এই ডোপামিন ই রিলিজ হয়৷ আসলে এটা আমাদের ইমোশন নিয়ন্ত্রণ করে!
মানুষের অন্তরে ভালবাসা বা আন্তর্ব্যক্তিক আকর্ষণ (interpersonal attraction) সৃষ্টির সাথে সম্পর্কযুক্ত টেস্টোস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন হরমোনও মূলত বিশেষ জৈব রাসায়নিক পদার্থ। বিভিন্ন আন্তঃসম্পর্কীয় কমিটমেন্ট ও এটাচমেন্টের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক সৃষ্টির সাথে অক্সিটোসিন (oxytocin) ও ভেসোপ্রেসিন (vasopressin) নামক দু’টি উচ্চস্তরে কেমিক্যাল জড়িত।
এ সকল রাসায়নিক পদার্থের কখনও যুগপৎ, কখনও পর্যায়ক্রমিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া মানুষের ভেতরে প্রেম, ভালবাসা, আবেগ, কামনা, আসক্তি, বন্ধন, প্রতিশ্রুতি ইত্যাদি তৈরি ও বিকর্ষিত করে।